পেট ব্যথা একটি অতি সাধারণ সমস্যা, যা আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এক বা একাধিকবার অনুভব করেছি। কখনো কম আবার কখনো তীব্রভাবে এই ব্যথা হতে পারে। অনেকেই পেট ব্যথাকে সাধারণ ভেবে অবহেলা করে থাকেন, কিন্তু জানেন কি এই পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ হতে পারে?
হ্যা, যেমন একদিকে খাবারজনিত সমস্যা, গ্যাস, এবং বদহজমের কারণে কিছুটা ব্যথা হতে পারে। তেমনি অন্যদিকে এই ব্যথায় হতে পারে অনেক গুরুতর রোগের ইঙ্গিত। অ্যাপেন্ডিসাইটিস, পিত্তথলির পাথর, পেপটিক আলসার ডিজিজ (PUD) সহ আরও অনেক জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবেও পেট ব্যথা হতে পারে।
তাই পেট ব্যথার প্রকৃতি (হঠাৎ হঠাৎ পেট ব্যথা), স্থায়িত্ব (দীর্ঘদিন স্থায়ী), অন্যান্য উপসর্গ দেখে এবং কিছু পরীক্ষা করে ডাক্তাররা নিশ্চিত হয়, আপনার এই ব্যথার আসল রহস্য কি। তবে, আজকের এই ব্লগ পোস্টে, আপনিও জানতে পারবেন পেট ব্যথার কারণ, এটি কি সাধারণ নাকি কোনো গুরুতর রোগের লক্ষণ, এবং এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়গুলো।
তাই আর দেরি না করে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই, যাতে আপনি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকতে পারেন।
রোগীর বয়স, পেট ব্যথার ধরণ, এবং ব্যথার সাথে অন্যন্য শারীরিক সমস্যার ওপর নির্ভর করে পেটে ব্যথা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। যদি এটা গুরুতর কোনো রোগের লক্ষণ হয়, তাহলে সেটা কি হতে পারে? আসুন দেখে নেই এমন ৮ টি রোগ যাদের উপসর্গ হিসেবে পেটে ব্যথা হতে পারে:
নাভির চারপাশে, বা নাভির নিচে ডান পাশে পেটে ব্যথা হতে পারে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ( 2 )। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কারণে হওয়া ব্যথা সাধারণত নাভির কাছাকাছি থেকে শুরু হয়ে পেটের ডান দিকে নিচে ছড়িয়ে পড়ে। এবং এই ব্যথা ক্রমান্বয়ে তীব্র হতে থাকে এবং সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এছাড়াও পেট বেথার পাশাপাশি বমি বমি ভাব, বমি, জ্বর, ক্ষুধামন্দা, পায়খানার সমস্যা, ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে ( 3 )। তাই যদি হঠাৎ হঠাৎ পেটে ব্যথা অনুভব করেন, এবং এই উপসর্গগুলো দেখতে পান তাহলে এখনই সাবধান হোন।
পেপটিক আলসার হল পাকস্থলী বা অন্ত্রের ভেতরের আস্তরণে ক্ষতজনিত একটি রোগ ( 4 )। এটি খাবার খাওয়ার পরে বা খালি পেটে জ্বালাপোড়া, অম্বল, কখনো কখনো রক্ত বমি বা কালো মলের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে ( 5 )। দীর্ঘদিনের অবহেলা পেপটিক আলসারকে গুরুতর করে তুলতে পারে, যা তীব্র পেট ব্যথা এবং রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে।
পৃথিবীব্যাপী ৫% থেকে ১০% মানুষের পেপটিক আলসার ডিজিজ (PUD) থাকতে পারে। তবে আতঙ্কের বিষয় হলো যাদের এই রোগ আছে তাদের মধ্যে ৭০% মানুষ কখনো কোনো উপসর্গ দেখতে পাইনা ( 6 )। তাই আপনি যদি পেট ফুলে যাওয়া , জ্বালাপোড়া ও পেট ব্যথা অনুভব করেন তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আপনার যদি পেটের ডানদিকে উপরের অংশে তীব্র ব্যথা থাকে, তাহলে এটা হতে পারে পিত্তথলিতে পাথরের লক্ষণ। এই ব্যথা সাধারণত খাবার খাওয়ার পরে শুরু হয় এবং কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে। ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব, বমি, পিঠের দিকে ব্যথা ছড়ানো, এবং ডান কাঁধে ব্যথা দেখা দিতে পারে ( 7 )।
আপনার পেটে তীব্র ব্যথার পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে অন্ত্রের বাধা বা প্রদাহ। অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হলে পেটে ফুলে যাওয়া, ক্র্যাম্পিং, গ্যাস অনুভূত হওয়া, পেট ভরা অনুভূত হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে ( 8 )।
অন্ত্রের বাধা বেশি গুরুতর হলে মলত্যাগে সমস্যা হতে পারে। তাই এই উপসর্গ গুলো একসাথে দেখা দিলে, পেট ব্যথাকে স্বাভাবিক ভেবে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন, কারণ এটি অন্ত্রের সংক্রমণ বা নেক্রোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) হলো পেটে অ্যাসিডের অতিরিক্ত মাত্রা বৃদ্ধির ফলে বুক জ্বালা এবং পেটের ওপরের অংশে ব্যথা অনুভব করা । এটা সাধারণত খাবার পর বেশি দেখা দেয়, এবং রাতে খাবার পর পরই শুয়ে পড়লে অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে ( 9 )।
এর সাথে প্রায়ই খাবার গিলতে সমস্যা, গলায় অস্বস্তি অনুভব, এবং খাবার বা পানীয় পেট থেকে আবার গলার দিকে ফিরে আস্তে পারে ( 10 )। GERD-এর অবহেলা করলে এটি আলসার বা ইসোফেগিয়াল (খাদ্যনালী) ও স্বরযন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে ( 11 )।
হার্নিয়া সাধারণত শরীরের অভ্যন্তরে কোনও অঙ্গ বা টিস্যু পেটের প্রাচীরের দুর্বল (নরম) অংশ দিয়ে বের হয়ে আসে। এটি পেটের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে কোনো ভারী কাজ করার সময়। ব্যথার পাশাপাশি পেটের বাহিরের দিকে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে ( 12 )।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হার্নিয়া বাইরে দেখা না দিয়ে শুধু পেটের ভিতরেই ব্যথা হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। তাই পেটে ব্যথা হতে পারে হার্নিয়ার লক্ষণ, তবে আতঙ্কিত না হয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন ( 13 )।
হেপাটাইটিস শব্দটি লিভারের প্রদাহ বা জ্বালাপোড়াকে ব্যাখ্যা করতে ব্যবহার করতে হয় ( 14 )। আপনার যদি পেটের ওপরের ডান কর্নারে ব্যথা করে, তাহলে এটা হতে পারে হেপাটাইটিসের লক্ষণ। হেপাটাইটিসের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা লিভারের কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় ( 15 )।
মেয়েদের পেট ব্যথা হলে সেটা সবসময় জটিল কোনো রোগের লক্ষণ নাও হতে পারে। কারণ স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কারণে মেয়েদের পেটের নিচের দিকে তীব্র ব্যথা দেখা দিতে পারে। যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) ( 16 ), এন্ডোমেট্রিওসিস, ইত্যাদির কারণে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও এই ব্যথার আড়ালে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত, গর্ভধারণের সময় জটিলতার মতো রোগ ( 17 )।
মনে রাখবেন: এখানে যে ৮ টি রোগের লক্ষণ হিসেবে পেট ব্যথাকে দায়ী করা হয়েছে, এগুলো ছাড়াও আরও অন্যন্য রোগ থাকতে পারে। তাই আপনার পেটে ব্যথা বেশি বা দীর্ঘস্থায়ী হলে, দেরি না করে অতি দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পেট ব্যথার প্রকারভেদ এবং প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে এর বিভিন্ন কারণ নির্ণয় করা যায়। যদিও এর অনেক কারণ থাকতে পারে, সেই থেকে কয়েকটি সাধারণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (IBS) একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যেখানে হজমের স্বাভাবিক কার্যকলাপ ব্যাহত হয়। এর ফলে পেটে ব্যথা, ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে। অনেক সময় মানসিক চাপ বা কিছু নির্দিষ্ট খাবার এই সমস্যাটিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে ( 18 )।
সাধারণত Escherichia coli, Klebsiella, Proteus spp ব্যাকটেরিয়াগুলো মূত্রনালীতে প্রবেশ করে এই সংক্রমণ হয়। এর ফলে পেটের নিচের দিকে ব্যথার ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া, তলপেটে চাপ বা ক্র্যাম্পিং ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে ( 19 )।
দূষিত খাবার খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা পরজীবী সংক্রমণ হলে খাদ্য বিষক্রিয়া ( Food Poisoning ) হয়। এর ফলে পেটে ব্যথার পাশাপাশি বমি, ডায়রিয়া, জ্বর, শরীর ধরে কাঁপুনি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে ( 20 )।
কিডনিতে খনিজ পদার্থের কণিকা জমে পাথরের মতো হয়ে গেলে কিডনি পাথর হতে পারে। এটি সাধারণত তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করে, যা পেটের পাশ বা পিঠে অনুভূত হয়। ব্যথার সাথে বমি, জ্বর, রক্তাক্ত প্রস্রাব ইত্যাদি লক্ষণও দেখা দিতে পারে ( 21 )।
এটি একটি অটোইমিউন রোগ যেখানে শরীর গ্লুটেন নামক একটি প্রোটিনের প্রতি অতি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। গ্লুটেনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, ওজন কমে যাওয়া, অ্যানিমিয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে ( 22 )।
দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যে থাকা ল্যাকটোজ শর্করা হজম করার জন্য আমাদের শরীরে ল্যাকটেজ নামক একটি এনজাইম প্রয়োজন। এই এনজাইমের অভাব বা কম থাকলে ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা হয়। এর ফলে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার হজমে সমস্যা হয় এবং পেটে ব্যাথা, ফোলাভাব, গ্যাস, ডায়রিয়া, বমি ইত্যাদি হতে পারে ( 23 )।
খাবার ভালোভাবে হজম না হলে পেটে ব্যথা, ফোলাভাব, গ্যাস, বমি, অম্বল ইত্যাদি হতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত খাওয়া, মশলাদার খাবার খাওয়া, দ্রুত খাওয়া ইত্যাদি কারণে বদহজম হয়। তাই আপনার হজমশক্তি বৃদ্ধির ওপর নজর রেখেই খাওয়া উচিত।
মনে রাখবেন, এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়, এগুলো ছাড়াও পেট ব্যথার আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। তাই, যদি আপনার পেট ব্যথা হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পেট ব্যথা হলে সবসময় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগেই ঘরোয়া কিছু উপায়ে তা কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। এই উপায়গুলো সহজেই ঘরে পাওয়া যায় এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে দ্রুত উপশমও মেলে। নিচে পেট ব্যথা কমানোর ৫ টি ঘরোয়া উপায় আলোচনা করেছি, আপনিও এগুলো অবলম্বন করে দেখতে পারেন:
পেট ব্যথার ক্ষেত্রে শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমের প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং শরীরের অতিরিক্ত গ্যাস নির্গত হতে পারে। তাছাড়া, অন্যান্য হালকা পানীয় যেমন তেঁতুল পানি, গরম পানীয় ইত্যাদিও পেটের আরাম দিতে পারে।
আদার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে, যা পেটের ব্যথা কমাতে সহায়ক। আদা-চা পান করলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পেটের অস্বস্তি দূর হয়। আদা হজমে হজমেসহায়তার পাশাপাশি পেটের ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ফোলাভাব কমতে সাহায্য করতে পারে।
মশলাদার খাবার, ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, দুগ্ধজাত খাবার, আঁশজাতীয় খাবার কার্বনেটেড পানীয় ইত্যাদি হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যা পরবর্তীতে পেট ব্যথার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চললে পেট ব্যথা কমতে পারে।
হজমে বাধা প্রদানকারী খাবার এড়ানোর পাশাপাশি কিছু খাবার আছে যা হজমে সাহায্য করতে পারে। যেমন দই, কলা, ওটমিল, আপেল, কলা, এবং হালকা শাকসবজি ইত্যাদি হজমের প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। এই ধরনের খাবার খেলে সহজে হজম হয় এবং পেটের ব্যথা কমাতে কার্যকর হতে পারে।
অ্যালকোহল, ধূমপান, এবং অন্যান্য নেশাদ্রব্য পেটের প্রাচীরে প্রভাব ফেলে এবং হজমে বাধা সৃষ্টি করে। পেটের ব্যথা থাকলে এই ধরনের নেশাদ্রব্য থেকে দূরে থাকা উচিত, কারণ এগুলো ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আমরা এখানে যে পেট ব্যথা কমানোর উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি তা শুধুমাত্র প্রাথমিক ভাবে কিছু ব্যথা কমাতে পারে ( 24 )। কিন্তু যদি আপনি এর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আমরা এই "পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ" ব্লগের একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। এখানে আমরা আমরা আলোচনা করেছি পেটে ব্যথা কেন হতে পারে, পেটে ব্যথা থেকে কি কি গুরুতর রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, এবং এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়গুলো কি কি।
বেশি বেশি পানি পান করা, আদা-চা পান করা, ভাজাপোড়া বা তেল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা, মাদকদ্রব্য থেকে দূরে থাকা, ইত্যাদি মেনে চললে ব্যথা কিছুটা কমতে পারে। তবে যদি এখনো এটা না কমে, তাহলে এটা গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে। যেমন অ্যাপেন্ডিসাইটিস, গ্যাস্ট্রিক আলসার, গলস্টোন বা হার্নিয়া ইত্যাদির লক্ষণ।
তাই আমরা সবসময় বলি, আপনি আপনার হজমশক্তি উন্নয়নের পাশাপাশি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলুন । চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে ব্যথার মূল কারণ নির্ণয় করা যায়। নিজের শরীরের প্রতি সচেতনতা এবং সময়মতো চিকিৎসায় পারে আপনার পেট ব্যথার জটিলতা কমাতে।
পেটে ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন অ্যাপেন্ডিসাইটিস, গ্যাস্ট্রিক, কিডনির পাথর, হজমের সমস্যা, IBD, নারীদের মাসিকের ব্যথা, ইনফেকশন, ইত্যাদি। ব্যথার নিদ্রিষ্ট স্থান, ব্যথার ধরণ, স্থায়িত্ব, ও তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে ডাক্তাররা সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন।
পেটের বাম পাশে ব্যথার অনেক কারণ হতে পারে। এর মধ্যে ডাইভার্টিকুলাইটিস (বাম দিকে নিচে ব্যথা), গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং ইত্যাদি খুবই সাধারণ। ব্যথার প্রকৃতি এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখে আসল রোগ নির্ণয় করা অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ।
হ্যাঁ, হজমের সমস্যার কারণে পেট ব্যথা হতে পারে। হজমের প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে অতিরিক্ত গ্যাস, অ্যাসিডিটি, এবং খাদ্য হজমে বিলম্ব হওয়ার কারণে পেট ব্যথার অনুভূতি হতে পারে। বিশেষত, মশলাদার খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার, এবং অতিরিক্ত খাবার খেলে হজমের সমস্যা থেকে পেট ব্যথা দেখা দিতে পারে।
Comments will be approved before showing up.